ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ২২
- আপডেট সময় : ০৯:০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২১, আজকের মেঘনা. কম,রাজশাহী ব্যুরো :
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহীন হত্যা মামলায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার অর্থ আদায় করে ভিকটিমের পরিবারকে প্রদানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইলিয়াস হোসেন এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাসিকের ১ নম্বর সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমান, হাসানুজ্জামান হিমেল, তৌফিকুল ইসলাম চাঁদ, মো. মহসিন, মো. সাইরুল, রজব, মো. মমিন ও আরিফুল ইসলাম।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাহবুল হোসেন, সাত্তার, সাজ্জাদ হোসেন, বখতিয়ার আলম রানা ওরফে রংলাল, হাসান আলী, মাসুদ, রাসেল, রাজা, মর্তুজ, সুমন, আসাদুল, আখতারুল, জাইদুর রহমান, ফরমান আলী, জয়নাল আবেদিন, রাজু আহম্মেদ, আকবর আলী, সম্রাট হোসেন, লাল মোহাম্মদ ওরফে লালু, টিয়া আলম, আজাদ হোসেন ও মো. মাসুম। আসামিরা নগরীর রাজপাড়া থানার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
রায় ঘোষণাকালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মমিন ও আরিফুল এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আজাদ ও মাসুম বাদে অন্যরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোসাব্বিরুল ইসলাম। মামলার বিবরণে তিনি জানান, ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট নগরীর রাজপাড়া থানার গুড়িপাড়া এলাকার ক্লাব মোড়ে শাহিনকে পেয়ে আসামিরা কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে নিহতের ভাই নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পরদিন ২৯ আগস্ট রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। তদন্তের পর ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। মামলায় ২৪ স্বাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। এরপর আদালত গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। কিন্তু দফায় দফায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে এক বছর পর রায় দেওয়া হলো।