শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী
- আপডেট সময় : ০৯:০০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ওসমান গনি গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালক হাফিজ আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মামুন অর রশিদ, বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী, আল-মামুন প্রধান, সকাল ১০ টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক গোমতী সেতুর ডালে শহীদ নজরুলের সমাধি ও স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অতিথিরা। নজরুল একটি সংগ্রামী মূখ। পুরো নাম এ, কে এম নজরুল ইসলাম (কিরন)। ১৯৪৯ সালে ১৫ই অক্টোবর মুন্সীগজ্ঞ জেলার, গজারিয়া উপজেলার, বাউশিয়া ইউনিয়নের চরবাউশিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নজরুল ১৯৬৬ সালে আজিমপুর ওয়েষ্ট এন্ট হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি, ১৯৬৮ সালে জগন্নাথ কলেজে এইচ.এস.সি পাশ করেন এবং ১৯৭০ সালে তিনি জগন্নাথ কলেজে (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) বি. এ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নজরুলের অন্যতম সহযুদ্ধা আব্দুল মালেক আমাদের বলেন আগর তলা থেকে উত্তর প্রদেশে যাওয়ার পথে বিমান বন্দরে তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়হয়। এর পরে ১ মাসের মত আমি তার সাথে কাটিয়েছি তাকে আমি খুব কাছথেকে দেখেছি। তিনি বলে আ স ম আব্দুর রব ১৯৭১ সালে যে পতাকা উত্তোলন করে ছিলেন সেই পতাকা বাহী ছিলেন এই নজরুল। ২৫ মার্চ ১৯৭১… বর্বর ইয়াহিয়া হায়েনাবাহিনী ঝাপিযে পরে এ দেশের নিরীহ মানুষের উপরে। ঢাকার রাজপথ লাখ লাখ অসহায় মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়।
ইতি মধ্যে অনেকেই চরাই উৎরাই পেড়িয়ে পারি জমায় ভারতে। নজরুল ও তাদের সাথে ২৬ এপিল ভারতে পাড়ি জমায়। সেখানে ৩ মাস ট্রেনিং শেষে ১৭ জুন নজরুল দেশে ফিরে আসেন। ইতি মধ্যে দেশে পাকবাহিনী গন হত্যা সহ লুটপাট শুরু করে। নজরুল অক্টোবরে আবার ভারতে ফিরে যান প্রশিক্ষক হিসাবে সেখানে ২ মাস কাটান। ডিসেম্বরের প্রথমে নজরুল আবার দেশে ফিরলেন বি, এল, এফ গজারিয়ার কমান্ডার হয়ে । ৯ই ডিসেম্বর ১৯৭১… নজরুল ৩০/৩৫ জন মুক্তিযুদ্ধাসহ গজারিয়ায় অবস্থান করছিলেন। তারা খবর পেল গজারিয়ার ভাষারচর নদীরপাড়ে পাকবাহিনী আবস্থান করেছে। নজরুলবাহিনী খবর পেয়ে সেখানে যায় পাকবাহিনীর সাথে গোলাগুলি শুরু হয়। নজরুল বাহিনীর সঙ্গে ১০০/১৫০ সাধারন জনগন। এক পর্যায়ে পাকবাহিনী পিছুহটতে থাকে। উত্তেজিত জনগন পাকবাহিনীর উপর জাপিয়ে পরে। হঠাৎ নজরুল দেখতে পায় এক পাকসেনার কাছে একটি গ্রেনেড সে তখনি উপস্থিত জনগনকে সেখান থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেন সেইমূহুর্তে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হলে নজরুল সহ ৪ জন মুক্তি যুদ্ধা আহত হন। পরে আহত অবস্থায় নজরুলকে বেলতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যান এই বীর মুক্তিযুদ্ধা। চুরান্ত বিজয়ের মাত্র ৭ দিন আগে ৯ই ডিসেম্বর শহীদ হয় এই বীরসেনা।