ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুড়ে যাওয়া লঞ্চ জব্দ করেছে পুলিশ, মালামাল থানায়

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:০৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ২০১ বার পড়া হয়েছে

২৯ ডিসেম্বর ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ জব্দ করেছে পুলিশ। এছাড়া লঞ্চটিতে থাকা পুড়ে যাওয়া মালামাল থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ কথা জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

থানা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিলো। এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা করা হয়। এতে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও লঞ্চের স্টাফসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জন লঞ্চের কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।

স্বজনহারা ঢাকার ডেমরার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তার বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগনি সুমাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, মামলার আলামত হিসেবে লঞ্চটি জব্দ ও পুড়ে যাওয়া মালামালের বিশেষ কিছু অংশ থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার আসামিদের দৃশ্যমান গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল, দুই ড্রাইভার মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার আনোয়ার, সুকানি আহসান ও কেরানি কামরুল। মামলায় দহনশীল দ্রব্য নিয়ে বেপরোয়া জাহাজ চালানো এবং অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

পুড়ে যাওয়া লঞ্চ জব্দ করেছে পুলিশ, মালামাল থানায়

আপডেট সময় : ০৭:০৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

২৯ ডিসেম্বর ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ জব্দ করেছে পুলিশ। এছাড়া লঞ্চটিতে থাকা পুড়ে যাওয়া মালামাল থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ কথা জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

থানা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিলো। এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা করা হয়। এতে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও লঞ্চের স্টাফসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জন লঞ্চের কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।

স্বজনহারা ঢাকার ডেমরার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তার বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগনি সুমাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, মামলার আলামত হিসেবে লঞ্চটি জব্দ ও পুড়ে যাওয়া মালামালের বিশেষ কিছু অংশ থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার আসামিদের দৃশ্যমান গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল, দুই ড্রাইভার মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার আনোয়ার, সুকানি আহসান ও কেরানি কামরুল। মামলায় দহনশীল দ্রব্য নিয়ে বেপরোয়া জাহাজ চালানো এবং অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।