ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেঘনায় ১ বছর পূর্বে হস্তান্তর হলেও উদ্বোধন হয়নি ডাকবাংলো।

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

২৬ এপ্রিল ২০২২,আজকের মেঘনা ডটকম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : মেঘনায় উপজেলা চত্ত্বরে জেলা পরিষদ অর্থায়নে নির্মিত ডাকবাংলো ভবনটি এক বছর পূর্বে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করলেও এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। মেঘনা -কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত উপজেলাটি এখনো পর্যন্ত কোন সরকারি বেসরকারি আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠনি ফলে দূর দূরান্ত থেকে সরকারি বেসরকারি সহ অনেক অতিথি বিভিন্ন কাজে এই উপজেলায় আসে ডাকবাংলো টি উদ্বোধন হলে অনেক অতিথি ফি দিয়ে রাত্রি যাপন করলে সরকারের কোষাগারে জমা হতো রাজস্ব। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় ভবনটি উপজেলা চত্ত্বরে পরিষদের পিছনে নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকায় বাহিরের দেয়ালে লোনা পরে গেছে পলেস্তারায় ধরেছে সরু সরু ফাটল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিষদের এক কর্মচারী এই প্রতিবেদককে বলেন মাঝে মাঝে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসলে রুম পরিস্কার করতে হয় ১হাজার টাকা খরচ করে। ঢাকায় কর্মরত দুলাল নামের একজন কর্মকর্তা পৈতৃক বাড়ি মেঘনায় তিনি বলেন আসলে বাড়িতে কেউ থাকেনা তাই থাকার মত পরিবেশ না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি গেলে আবার চলে আসি যদি ডাক বাংলো চালু থাকতো সরকারি ফি জমা দিয়ে বুকিং পেলে থাকতে পারতাম। বৈদ্ব্যনাথ পুরের রেজাউল করিম বলেন আমার পরিচিত উচ্চ পদস্থ অনেক বন্ধু আছে বাড়িতে ভালো পরিবেশ না থাকায় নিতে পারিনা যদি ডাকবাংলো চালু হয় আর সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং থাকার মত পরিবেশ থাকে তা হলে অনেক লোকের একদিকে উপকার হবে অন্যদিকে সরকার রাজস্ব পাবে। এম আর এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান এই ডাকবাংলো টি নির্মান করেন যার মালিক মোঃ রাহাত আহমেদ তিনি আজকের পত্রিকা কে বলেন আমি এক বছর পূর্বে এই কাজ হস্তান্তর করে দিয়েছি কর্তৃপক্ষের নিকট এমনকি জামানতের টাকাও উত্তোলন করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনো উদ্বোধন হয়নি হইলে আপনাদের জানাবো। উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন ঠিকাদার করোনাকালীন বুঝিয়ে দিয়েছে কিন্তু জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মাননীয় এমপি মহোদয় কে সমন্বয় করতে না পারায় দেরি হচ্ছে, এখনতো জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এখন আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এমপি মহোদয় কে নিয়ে দ্রুত উদ্বোধন করার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

মেঘনায় ১ বছর পূর্বে হস্তান্তর হলেও উদ্বোধন হয়নি ডাকবাংলো।

আপডেট সময় : ০৭:২৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

২৬ এপ্রিল ২০২২,আজকের মেঘনা ডটকম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : মেঘনায় উপজেলা চত্ত্বরে জেলা পরিষদ অর্থায়নে নির্মিত ডাকবাংলো ভবনটি এক বছর পূর্বে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করলেও এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। মেঘনা -কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত উপজেলাটি এখনো পর্যন্ত কোন সরকারি বেসরকারি আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠনি ফলে দূর দূরান্ত থেকে সরকারি বেসরকারি সহ অনেক অতিথি বিভিন্ন কাজে এই উপজেলায় আসে ডাকবাংলো টি উদ্বোধন হলে অনেক অতিথি ফি দিয়ে রাত্রি যাপন করলে সরকারের কোষাগারে জমা হতো রাজস্ব। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় ভবনটি উপজেলা চত্ত্বরে পরিষদের পিছনে নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকায় বাহিরের দেয়ালে লোনা পরে গেছে পলেস্তারায় ধরেছে সরু সরু ফাটল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিষদের এক কর্মচারী এই প্রতিবেদককে বলেন মাঝে মাঝে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসলে রুম পরিস্কার করতে হয় ১হাজার টাকা খরচ করে। ঢাকায় কর্মরত দুলাল নামের একজন কর্মকর্তা পৈতৃক বাড়ি মেঘনায় তিনি বলেন আসলে বাড়িতে কেউ থাকেনা তাই থাকার মত পরিবেশ না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি গেলে আবার চলে আসি যদি ডাক বাংলো চালু থাকতো সরকারি ফি জমা দিয়ে বুকিং পেলে থাকতে পারতাম। বৈদ্ব্যনাথ পুরের রেজাউল করিম বলেন আমার পরিচিত উচ্চ পদস্থ অনেক বন্ধু আছে বাড়িতে ভালো পরিবেশ না থাকায় নিতে পারিনা যদি ডাকবাংলো চালু হয় আর সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং থাকার মত পরিবেশ থাকে তা হলে অনেক লোকের একদিকে উপকার হবে অন্যদিকে সরকার রাজস্ব পাবে। এম আর এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান এই ডাকবাংলো টি নির্মান করেন যার মালিক মোঃ রাহাত আহমেদ তিনি আজকের পত্রিকা কে বলেন আমি এক বছর পূর্বে এই কাজ হস্তান্তর করে দিয়েছি কর্তৃপক্ষের নিকট এমনকি জামানতের টাকাও উত্তোলন করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনো উদ্বোধন হয়নি হইলে আপনাদের জানাবো। উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন ঠিকাদার করোনাকালীন বুঝিয়ে দিয়েছে কিন্তু জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মাননীয় এমপি মহোদয় কে সমন্বয় করতে না পারায় দেরি হচ্ছে, এখনতো জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এখন আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এমপি মহোদয় কে নিয়ে দ্রুত উদ্বোধন করার জন্য।