ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতিবাজরা আতঙ্কে আছে : দুদক কমিশনার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

৩ আগষ্ট ২০২২ইংআজকের মেঘনা ডটকম,

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন এমন এক আতঙ্কে রয়েছে যে, তারা যেকোনো সময় ধরা পড়বে ও শাস্তির সম্মুখীন হবে।

বুধবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শহীদ বীরোত্তম শাহ আলম অডিটোরিয়ামে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এই প্রথম চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশন গণশুনানির আয়োজন করেছে।

গণশুনানিতে দুদক কমিশনার বলেন, দুদক দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আগে বলা হতো দুদক শুধুমাত্র চুনোপুঁটিদের নিয়ে কাজ করে, রুই-কাতলা ধরে না। এখন কিন্তু সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জেলে আছে।

তিনি বলেন, যিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত হিসেবেই থাকবেন। মামলার বিচার থেকে কোনো পরিত্রাণ নেই। জীবিত থাকতে অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির সহযোগী যারা থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সমাজ থেকে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করতে হবে উল্লেখ করে দুদক কমিশনার বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে জিরো টলারেন্স টু করাপশন। এটা হচ্ছে আমাদের টার্গেট। আমরা যদি এর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারি, তাহলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট। যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো টলারেন্সের নীতিতে সফল না হব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম অবিরত ও শক্ত হাতে চলবে। আমরা কখনও পিছপা হব না।

তিনি বলেন, দুদক ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। এখন দুদকের আকার ও সক্ষমতা বেড়েছে। দুর্নীতিকে আমলে নেওয়ার ও বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে। দুদকের ৭০ শতাংশ মামলায় শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা।

অনুষ্ঠানে দুদকের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল বলেন, আজ গণশুনানিতে সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা শুনব। জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দিয়ে রাষ্ট্র নিয়োগ দিয়েছে। সেই সেবা পেতে অনৈতিকভাবে, অযৌক্তিকভাবে কেউ যদি কোনো ধরনের কষ্টের শিকার হন, তাহলে সেই বিষয়টি শোনার জন্য আজকের এই গণশুনানি। গণশুনানিতে আজকে যদি কোনো কর্মকর্তা প্রশ্নের সুদত্তর দিতে না পারেন, তাহলে এই অভিযোগ সরাসরি দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও মামলাও হতে পারে।

চট্টগ্রাম মহানগরে যেকোনো সরকারি সেবা পেতে হয়রানি বা দুর্নীতির শিকার ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতা ব্যক্তি গণশুনানি অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সামনে তাদের অভিযোগ তুলে ধরছেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়সহ চট্টগ্রাম দুদকের বিভাগীয় পরিচালকসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত আছেন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

দুর্নীতিবাজরা আতঙ্কে আছে : দুদক কমিশনার

আপডেট সময় : ০৮:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

৩ আগষ্ট ২০২২ইংআজকের মেঘনা ডটকম,

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন এমন এক আতঙ্কে রয়েছে যে, তারা যেকোনো সময় ধরা পড়বে ও শাস্তির সম্মুখীন হবে।

বুধবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শহীদ বীরোত্তম শাহ আলম অডিটোরিয়ামে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এই প্রথম চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশন গণশুনানির আয়োজন করেছে।

গণশুনানিতে দুদক কমিশনার বলেন, দুদক দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আগে বলা হতো দুদক শুধুমাত্র চুনোপুঁটিদের নিয়ে কাজ করে, রুই-কাতলা ধরে না। এখন কিন্তু সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জেলে আছে।

তিনি বলেন, যিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত হিসেবেই থাকবেন। মামলার বিচার থেকে কোনো পরিত্রাণ নেই। জীবিত থাকতে অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির সহযোগী যারা থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সমাজ থেকে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করতে হবে উল্লেখ করে দুদক কমিশনার বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে জিরো টলারেন্স টু করাপশন। এটা হচ্ছে আমাদের টার্গেট। আমরা যদি এর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারি, তাহলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট। যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো টলারেন্সের নীতিতে সফল না হব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম অবিরত ও শক্ত হাতে চলবে। আমরা কখনও পিছপা হব না।

তিনি বলেন, দুদক ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। এখন দুদকের আকার ও সক্ষমতা বেড়েছে। দুর্নীতিকে আমলে নেওয়ার ও বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে। দুদকের ৭০ শতাংশ মামলায় শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা।

অনুষ্ঠানে দুদকের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল বলেন, আজ গণশুনানিতে সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা শুনব। জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দিয়ে রাষ্ট্র নিয়োগ দিয়েছে। সেই সেবা পেতে অনৈতিকভাবে, অযৌক্তিকভাবে কেউ যদি কোনো ধরনের কষ্টের শিকার হন, তাহলে সেই বিষয়টি শোনার জন্য আজকের এই গণশুনানি। গণশুনানিতে আজকে যদি কোনো কর্মকর্তা প্রশ্নের সুদত্তর দিতে না পারেন, তাহলে এই অভিযোগ সরাসরি দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও মামলাও হতে পারে।

চট্টগ্রাম মহানগরে যেকোনো সরকারি সেবা পেতে হয়রানি বা দুর্নীতির শিকার ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতা ব্যক্তি গণশুনানি অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সামনে তাদের অভিযোগ তুলে ধরছেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়সহ চট্টগ্রাম দুদকের বিভাগীয় পরিচালকসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত আছেন