ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের সুনির্দিষ্ট তথ্য চায়নি বাংলাদেশ: সুইস রাষ্ট্রদূত

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২ ১২২ বার পড়া হয়েছে

১০ আগষ্ট ২০২২ইং আজকের মেঘনা ডটকম,

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত; অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের কারও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার চায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড কালোটাকা রাখার স্বর্গরাজ্য নয়। এ বিষয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। সুইস ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশি টাকার পরিসংখ্যান প্রতিবছর দেওয়ার ক্ষেত্রে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ সরকার সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট করে কারও সম্পর্কে তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংক আন্তর্জাতিক সব প্রক্রিয়া মেনেই কাজ করে। সেখানে কালোটাকা বা দুর্নীতির অর্থ রাখার কোনো নিয়ম নেই।’

সুইস ব্যাংক অবৈধ অর্থকে কোনোভাবেই উৎসাহিত করে না জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সুইস ব্যাংক বিশ্বের একটি অন্যতম ব্যাংকিং ব্যবস্থা। আমাদের জিডিপির অন্যতম একটি বড় অংশ। সুইস জাতীয় ব্যাংক প্রতিবছর বাংলাদেশি গ্রাহকদের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় ব্যক্তিগত টাকা সংরক্ষণের হার বাড়ছে না বরং কমছে।’

সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মান অনুসারে আমরা যেকোনো ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও চুক্তি করতে পারি। ইতিমধ্যে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করেছি।’

বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘গত বছর দুই দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এ দেশের স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম সুইস সরকারের সহায়তায় হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের মতো স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সুইস সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সুইস সরকার ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। আগামী দিনগুলোতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

আগামীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রযুক্তির প্রসারে সুইস সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

রোহিঙ্গাসংকট প্রসঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রোহিঙ্গাসংকট সমাধানে সুইজারল্যান্ড সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। সুইজারল্যান্ড চায় রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদে প্রত্যাবাসন হোক। রোহিঙ্গা সমস্যা তাদের নিজেদের জন্যই নয়, বাংলাদেশের জন্যও একটি সমস্যা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অবস্থায় আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা করব। আমরা জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য নই। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে এখন রয়েছি। সেখানে আমরা বিষয়গুলো তুলে ধরব।’

অনুষ্ঠানে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এর সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দীনের সঞ্চালনায় সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসসহ সংগঠনটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের সুনির্দিষ্ট তথ্য চায়নি বাংলাদেশ: সুইস রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২

১০ আগষ্ট ২০২২ইং আজকের মেঘনা ডটকম,

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত; অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের কারও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার চায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড কালোটাকা রাখার স্বর্গরাজ্য নয়। এ বিষয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। সুইস ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশি টাকার পরিসংখ্যান প্রতিবছর দেওয়ার ক্ষেত্রে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ সরকার সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট করে কারও সম্পর্কে তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংক আন্তর্জাতিক সব প্রক্রিয়া মেনেই কাজ করে। সেখানে কালোটাকা বা দুর্নীতির অর্থ রাখার কোনো নিয়ম নেই।’

সুইস ব্যাংক অবৈধ অর্থকে কোনোভাবেই উৎসাহিত করে না জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সুইস ব্যাংক বিশ্বের একটি অন্যতম ব্যাংকিং ব্যবস্থা। আমাদের জিডিপির অন্যতম একটি বড় অংশ। সুইস জাতীয় ব্যাংক প্রতিবছর বাংলাদেশি গ্রাহকদের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় ব্যক্তিগত টাকা সংরক্ষণের হার বাড়ছে না বরং কমছে।’

সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মান অনুসারে আমরা যেকোনো ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও চুক্তি করতে পারি। ইতিমধ্যে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করেছি।’

বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘গত বছর দুই দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এ দেশের স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম সুইস সরকারের সহায়তায় হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের মতো স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সুইস সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সুইস সরকার ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। আগামী দিনগুলোতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

আগামীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রযুক্তির প্রসারে সুইস সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

রোহিঙ্গাসংকট প্রসঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রোহিঙ্গাসংকট সমাধানে সুইজারল্যান্ড সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। সুইজারল্যান্ড চায় রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদে প্রত্যাবাসন হোক। রোহিঙ্গা সমস্যা তাদের নিজেদের জন্যই নয়, বাংলাদেশের জন্যও একটি সমস্যা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অবস্থায় আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা করব। আমরা জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য নই। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে এখন রয়েছি। সেখানে আমরা বিষয়গুলো তুলে ধরব।’

অনুষ্ঠানে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এর সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দীনের সঞ্চালনায় সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসসহ সংগঠনটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।