ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেঘনায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ : তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে হুমকি 

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:২১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

১৩ আগষ্ট ২০২২ইং আজকের মেঘনা ডটকম,

স্টাফ রিপোর্টার।।

মেঘনায় আল – শেফা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল চিকিৎসায়  নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সাংবাদিক  নাজিমুদ্দিন  তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাকে অভিযুক্তরা চোখ রাঙ্গানি সহ হুমকি প্রদর্শন করে।  শনিবার দুপুরে নবজাতকের পিতা উপজেলার বারহাজারী গ্রামের মো: আল আমিন খন্দকার বাদী হয়ে মেঘনা থানায় এ অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি)মো: ছমিউদ্দিন নিশ্চিত করে বলেন বাচ্চাটিকে কবর দেওয়া হয়েছে শুনেছি তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সন্ধ্যায় মানিকার চর বাজারে অবস্থিত আল শেফা জেনারেল হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে বাদীর একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। জন্মের পর নবজাতককে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়। নবজাতকের শাড়িরিক অবস্থা খারাপ দেখে অভিভাবককে ডেকে বলা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিতে হবে।  আল আমিন খন্দকার বলেন আমাকে  এম্বুলেন্স নিয়ে আসতে বললে আমি কর্তব্যরত নার্স ১নং অভিযুক্তকে বলি আমার সন্তানকে আমার কাছে দেওয়ার জন্য আমাকে না কাপড় দিয়ে শড়ির মুখ ঢেকে রাখে আমি গাড়ি আনলে গাড়ির লাইট বন্ধ করে দিতে বলে অন্ধকারে বাচ্চাটিকে দিয়ে দেয় ৪০ মিনিটের মধ্যে মাতুয়াইল শিশু  মাতৃ স্বাস্থ্য ইনিষ্টিটিউটে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে বলে আপনার বাচ্চা অনেক আগেই অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে। এই কথা শুনে আমি অভিযুক্ত সেই নার্সকে ফোন করে বিষয় টি বললে  তিনি আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এ বিষয়ে হাসপাতালের মালিক ফজলুল হক বলেন সিজারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা করালে সুন্দর মত সিজার হয় মা এবং বাচ্চাই সুস্থ গভীর রাতে হটাৎ বাচ্চার নিউমোনিয়া বেড়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দেই। আপনার হাসপাতালে শিশু ডাক্তার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন না আমাদের এখানে নেই ছোট সমস্যা হলে আমরা চিকিৎসা করি বড় সমস্যা হলে ঢাকা প্রেরণ করি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জালাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি গত শুক্রবার হাসপাতাল টি পরিদর্শন করেছি তাদের লাইসেন্স নবায়ন নেই এবং হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী অত্যন্ত নিম্নমানের।নিয়ম অনুযায়ী সংস্কার না করলে লাইসেন্স নবায়ন করতে আমি সুপারিশ করবোনা। সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন বলেন পাশের উপজেলার সাংবাদিক আঃ করিম এবং জিল্লুর ভাইয়ের উপস্থিতিতে অভিযুক্তরা চোখ রাঙ্গিয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

মেঘনায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ : তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে হুমকি 

আপডেট সময় : ১১:২১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

১৩ আগষ্ট ২০২২ইং আজকের মেঘনা ডটকম,

স্টাফ রিপোর্টার।।

মেঘনায় আল – শেফা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল চিকিৎসায়  নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সাংবাদিক  নাজিমুদ্দিন  তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাকে অভিযুক্তরা চোখ রাঙ্গানি সহ হুমকি প্রদর্শন করে।  শনিবার দুপুরে নবজাতকের পিতা উপজেলার বারহাজারী গ্রামের মো: আল আমিন খন্দকার বাদী হয়ে মেঘনা থানায় এ অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি)মো: ছমিউদ্দিন নিশ্চিত করে বলেন বাচ্চাটিকে কবর দেওয়া হয়েছে শুনেছি তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সন্ধ্যায় মানিকার চর বাজারে অবস্থিত আল শেফা জেনারেল হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে বাদীর একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। জন্মের পর নবজাতককে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়। নবজাতকের শাড়িরিক অবস্থা খারাপ দেখে অভিভাবককে ডেকে বলা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিতে হবে।  আল আমিন খন্দকার বলেন আমাকে  এম্বুলেন্স নিয়ে আসতে বললে আমি কর্তব্যরত নার্স ১নং অভিযুক্তকে বলি আমার সন্তানকে আমার কাছে দেওয়ার জন্য আমাকে না কাপড় দিয়ে শড়ির মুখ ঢেকে রাখে আমি গাড়ি আনলে গাড়ির লাইট বন্ধ করে দিতে বলে অন্ধকারে বাচ্চাটিকে দিয়ে দেয় ৪০ মিনিটের মধ্যে মাতুয়াইল শিশু  মাতৃ স্বাস্থ্য ইনিষ্টিটিউটে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে বলে আপনার বাচ্চা অনেক আগেই অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে। এই কথা শুনে আমি অভিযুক্ত সেই নার্সকে ফোন করে বিষয় টি বললে  তিনি আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এ বিষয়ে হাসপাতালের মালিক ফজলুল হক বলেন সিজারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা করালে সুন্দর মত সিজার হয় মা এবং বাচ্চাই সুস্থ গভীর রাতে হটাৎ বাচ্চার নিউমোনিয়া বেড়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দেই। আপনার হাসপাতালে শিশু ডাক্তার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন না আমাদের এখানে নেই ছোট সমস্যা হলে আমরা চিকিৎসা করি বড় সমস্যা হলে ঢাকা প্রেরণ করি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জালাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি গত শুক্রবার হাসপাতাল টি পরিদর্শন করেছি তাদের লাইসেন্স নবায়ন নেই এবং হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী অত্যন্ত নিম্নমানের।নিয়ম অনুযায়ী সংস্কার না করলে লাইসেন্স নবায়ন করতে আমি সুপারিশ করবোনা। সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন বলেন পাশের উপজেলার সাংবাদিক আঃ করিম এবং জিল্লুর ভাইয়ের উপস্থিতিতে অভিযুক্তরা চোখ রাঙ্গিয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন।