ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাড়িতে উঠলেই ‘মোশন সিকনেস’ হলে কী করবেন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

বাস, ট্রেন বা প্রাইভেটকারে ভ্রমণ করার সময় অনেকের ‘মোশন সিকনেস’ হয়। আর এই মোশন সিকনেসের জন্য আমাদের কান দায়ী। কারণ আমাদের কানে এমন কিছু সেন্সর আছে যেগুলো আমাদের ব্রেনকে সব সময় সিগন্যাল প্রদান করতে থাকে, আমরা কোনোদিকে অগ্রসর হচ্ছি। বাস বা কারের কন্টিনিউয়াস মোশন এর কারণে আমাদের কানের ভেতরে যে সেন্সরগুলো আছে সেগুলো ব্রেনকে ভুল সিগন্যাল প্রদান করে। অর্থাৎ বাস্তবে আপনি হযতো ডান বা বাম দিকে যাচ্ছেন কিন্তু আপনার ব্রেইন সিগন্যার পাবে যে আপনি ডান থেকে বাম দিকে যাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কান আর ব্রেনের ভুল কমিউনিকেশনের কারণে আমাদের মোশন সিকনেস হয়। যার কারণে আমাদের বমি হয়। এই মোশন সিকনেস সবারই হবে, তা নয়। কারও কারও জেনেটিক্যালি কানের সেন্সর দূর্বল হয়। তাদের মোশন সিকনেসের তীব্রতার বেশি হয়।

বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে এই মোশন সিকনেস কমানো যেতে পারে। ফিটনেস প্রশিক্ষক এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এ এস তাজের পরামর্শ—

১. আপনাকে প্রথমেই যেটা করতে হবে, সেটা হলো জার্নির আগে হালকা খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ পেট ভরে খাবেন না।

২. জার্নির সময় কাছের বস্তুর দিকে না তাকিয়ে দূরের দিগন্তের দিকে তাকিয়ে থাকা ভালো। অর্থাৎ দূরের দৃশ্য আপনাকে দেখতে হবে। আপনি যত বেশি কাছের দৃশ্য দেখবেন ততবেশি আপনার মোশন সিকনেস কাজ করবে।

৩.আর যে কাজ করবেন না, সেটা হলো মোবাইল স্ক্রলিং করবেন না বা বই পড়বেন না। যেহেতু আমরা হাতে যে জিনিসটি ধরে থাকি, সেটা কন্টিনিউয়াসলি নড়াচড়া করে। তাই এই নড়াচড়ার দিকে আপনি যতবেশি তাকিয়ে থাকবেন তত বেশি মোশন সিকনেস কাজ করবে।

৪. এ ছাড়া সম্ভব হলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে পারেন।

৫. মাঝে মাঝে লেবু অথবা কমলার ঘ্রাণ নেওয়া যেতে পারে। এতে মোশন সিকনেস কমে।

উল্লেখ্য, এই সব কিছুর মেনে চলার পরেও যদি মোশন সিকনেস না কমে, তাহলে মোশন সিকনেস কমানোর ওষুধ  জার্নির আগেই সেবন করতে পারেন। এতে মোশন সিকনেস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

গাড়িতে উঠলেই ‘মোশন সিকনেস’ হলে কী করবেন

আপডেট সময় : ১১:৫৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

বাস, ট্রেন বা প্রাইভেটকারে ভ্রমণ করার সময় অনেকের ‘মোশন সিকনেস’ হয়। আর এই মোশন সিকনেসের জন্য আমাদের কান দায়ী। কারণ আমাদের কানে এমন কিছু সেন্সর আছে যেগুলো আমাদের ব্রেনকে সব সময় সিগন্যাল প্রদান করতে থাকে, আমরা কোনোদিকে অগ্রসর হচ্ছি। বাস বা কারের কন্টিনিউয়াস মোশন এর কারণে আমাদের কানের ভেতরে যে সেন্সরগুলো আছে সেগুলো ব্রেনকে ভুল সিগন্যাল প্রদান করে। অর্থাৎ বাস্তবে আপনি হযতো ডান বা বাম দিকে যাচ্ছেন কিন্তু আপনার ব্রেইন সিগন্যার পাবে যে আপনি ডান থেকে বাম দিকে যাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কান আর ব্রেনের ভুল কমিউনিকেশনের কারণে আমাদের মোশন সিকনেস হয়। যার কারণে আমাদের বমি হয়। এই মোশন সিকনেস সবারই হবে, তা নয়। কারও কারও জেনেটিক্যালি কানের সেন্সর দূর্বল হয়। তাদের মোশন সিকনেসের তীব্রতার বেশি হয়।

বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে এই মোশন সিকনেস কমানো যেতে পারে। ফিটনেস প্রশিক্ষক এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এ এস তাজের পরামর্শ—

১. আপনাকে প্রথমেই যেটা করতে হবে, সেটা হলো জার্নির আগে হালকা খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ পেট ভরে খাবেন না।

২. জার্নির সময় কাছের বস্তুর দিকে না তাকিয়ে দূরের দিগন্তের দিকে তাকিয়ে থাকা ভালো। অর্থাৎ দূরের দৃশ্য আপনাকে দেখতে হবে। আপনি যত বেশি কাছের দৃশ্য দেখবেন ততবেশি আপনার মোশন সিকনেস কাজ করবে।

৩.আর যে কাজ করবেন না, সেটা হলো মোবাইল স্ক্রলিং করবেন না বা বই পড়বেন না। যেহেতু আমরা হাতে যে জিনিসটি ধরে থাকি, সেটা কন্টিনিউয়াসলি নড়াচড়া করে। তাই এই নড়াচড়ার দিকে আপনি যতবেশি তাকিয়ে থাকবেন তত বেশি মোশন সিকনেস কাজ করবে।

৪. এ ছাড়া সম্ভব হলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে পারেন।

৫. মাঝে মাঝে লেবু অথবা কমলার ঘ্রাণ নেওয়া যেতে পারে। এতে মোশন সিকনেস কমে।

উল্লেখ্য, এই সব কিছুর মেনে চলার পরেও যদি মোশন সিকনেস না কমে, তাহলে মোশন সিকনেস কমানোর ওষুধ  জার্নির আগেই সেবন করতে পারেন। এতে মোশন সিকনেস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।