ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বারের লিফট ছিঁড়ে পড়ার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

১৭ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

লিফট ছিঁড়ে পড়ে কয়েকজন আইনজীবী আহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বার) পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা হলেন- লিফট সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লিড আর্কটিেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী এ আর আরিফ, ফরচুন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রোপেইটার প্রকৌশলী এইচ এম আফজাল হোসেন, সিটি ইন্টার ডিউসি অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনের পার্টনার মো. আ. জলিল, মোতালেব এবং স্মার্ট পাওয়ার অ্যান্ড টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এমএ কবির সুমন।

আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন বাদীপক্ষে শুনানি করেন।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম মাসুুম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৫০৬/৩০৭/৩২৬/১০৯ ধারায় হত্যাচেষ্টা, গুরুতর জখম ও প্রতারণা-বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী লিফট স্থাপন ও কনস্ট্রাকশনের কাজ পায় লিড আর্কিটেক্স লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী গোল্ড স্টার কোম্পানি ব্র্যান্ডের ৮০০ কেজির ১০ জন ধারণসম্পন্ন লিফট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানসম্মত লিফট না দেওয়ায় গত ১৫ ডিসেম্বর সাড়ে তিনটার দিকে সেই লিফটের ষষ্ঠতলা থেকে লিফট ছিঁড়ে পড়ে যায়। এতে লিফটে থাকা যাত্রীরা আধঘণ্টা আটকা অবস্থায় ছিলেন। এ ঘটনায় কয়েকজন আইনজীবী গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন। আহতদের প্রথমে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী ক্লিনিক ও পরে ন্যাশনাল মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। তারা এখন সেখানে চিকিৎসাধীন।

অভিযোগে আরো বলা হয়, মোট ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ করে লিফট স্থাপনের কাজ করা হয়। বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েও মানসম্মত লিফট না দেওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে জখম, হত্যাচেষ্টাসহ এসব অভিযোগ আনা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ঢাকা বারের লিফট ছিঁড়ে পড়ার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

আপডেট সময় : ০৯:২৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

১৭ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

লিফট ছিঁড়ে পড়ে কয়েকজন আইনজীবী আহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বার) পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা হলেন- লিফট সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লিড আর্কটিেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী এ আর আরিফ, ফরচুন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রোপেইটার প্রকৌশলী এইচ এম আফজাল হোসেন, সিটি ইন্টার ডিউসি অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনের পার্টনার মো. আ. জলিল, মোতালেব এবং স্মার্ট পাওয়ার অ্যান্ড টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এমএ কবির সুমন।

আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন বাদীপক্ষে শুনানি করেন।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম মাসুুম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৫০৬/৩০৭/৩২৬/১০৯ ধারায় হত্যাচেষ্টা, গুরুতর জখম ও প্রতারণা-বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী লিফট স্থাপন ও কনস্ট্রাকশনের কাজ পায় লিড আর্কিটেক্স লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী গোল্ড স্টার কোম্পানি ব্র্যান্ডের ৮০০ কেজির ১০ জন ধারণসম্পন্ন লিফট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানসম্মত লিফট না দেওয়ায় গত ১৫ ডিসেম্বর সাড়ে তিনটার দিকে সেই লিফটের ষষ্ঠতলা থেকে লিফট ছিঁড়ে পড়ে যায়। এতে লিফটে থাকা যাত্রীরা আধঘণ্টা আটকা অবস্থায় ছিলেন। এ ঘটনায় কয়েকজন আইনজীবী গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন। আহতদের প্রথমে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী ক্লিনিক ও পরে ন্যাশনাল মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। তারা এখন সেখানে চিকিৎসাধীন।

অভিযোগে আরো বলা হয়, মোট ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ করে লিফট স্থাপনের কাজ করা হয়। বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েও মানসম্মত লিফট না দেওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে জখম, হত্যাচেষ্টাসহ এসব অভিযোগ আনা হয়।