জনতা ব্যাংকের অফিসারসহ জালিয়াত চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ০৬:১৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯৩ বার পড়া হয়েছে
৩১ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতি করার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এডিশনাল ডিআইজি কামরুল আহসান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার সাত জন হলেন, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার রকিবুল হাসান(২৫), রাশেদুজ্জামান সজীব (৩৬), হাছান মাহমুদ (২২), মানিক কুমার প্রামাণিক (৩৮), মো. শফিকুল ইসলাম (৩০), শ্রী রিপন কুমার (২৬), নাফিউল ইসলাম তাহসিন (১৮)।
কামরুল আহসান বলেন, পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের এই সদস্যরা তিনটি ধাপে কাজ করতেন। প্রথমে তারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের খুঁজে বের করতেন। দ্বিতীয়ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সলিউশন এর জন্য ভালো মানের ছাত্র খুঁজতেন। আর তৃতীয়ত, যে কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী থাকবে সে কেন্দ্রকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতেন।
কামরুল আহসান আরো বলেন, তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই চক্রটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার অনেক আগে থেকেই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করতেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তারা পরীক্ষার প্রশ্ন ডিজিটাল ডিভাইস এর সহায়তায় পরীক্ষার কেন্দ্র হতে বাইরে বের এনে দ্রুত তা সমাধান করে পাঠাতেন। ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নাফিউল ইসলাম তাহসিনকে মোবাইলসহ আটক করে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে তেজগাঁ থানাওয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করে। তথ্য পর্যালোচনা ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসান মাহমুদ ও সাইফুরসের ইংরেজি শিক্ষক রাশেদুজ্জামান সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার রকিবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সর্বোপরি রকিবুল হাসানের তথ্যের ভিত্তিতে মানিক কুমার প্রমাণিক, শাফিকুল ইসলাম ও শ্রী রিপন কুমারকে ৩০ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।