ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিক্ষুক হয়েও মসজিদে ১৩ হাজার টাকা অনুদান জবেদার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১ ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

০৫ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিধবা মেয়ে ও এক নাতনীকে নিয়ে কষ্টের সংসার বৃদ্ধা জবেদা বেগমের। ভিক্ষা করে পেট চলে তার। ভিক্ষাবৃত্তি সমাজের চোখে সম্মানহীন হলেও জবেদার বেলায় সেটি ভিন্ন হয়ে উঠেছে। মর্যাদাহীন এই বৃদ্ধা সমাজের চোখে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার উৎস।

ভিক্ষার টাকা জমিয়ে পাড়ার মসজিদে তিনি অনুদান দিয়েছেন ১৩ হাজার টাকা। সেই থেকে গ্রামে আলোচিত তিনি। প্রমাণ করেছেন, দান করতে বিত্তশালী হওয়া লাগে না, লাগে সুন্দর একটি মন। জবেদা বেগম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বাগডাঙা গ্রামের মৃত চিনেতুল্লা বিশ্বাসের স্ত্রী। ২৫ বছর আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান চিনেতুল্লা। বেঁচে থাকতে তিনিও ভিক্ষা করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমে পড়েন জবেদা।

স্থানীয়রা বলছেন, করোনাকালীন এক ভিক্ষুক টাকা সহযোগিতা করে সরকারি ঘর পেয়েছেন। আমরা চাই ভিক্ষুক জবেদাও যেন সরকারি সহায়তা পায়। তাকে যেন শেষ বয়সে আর ভিক্ষা করতে না হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, জবেদা সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য। আমরা চাই সে যেন সরকারি ঘর পায়।

স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য লতিফা বেগম পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ভিক্ষা করে আত্মারে কিছু দেয় না জবেদা। টাকা জমিয়ে বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসায় দান করেন। তার মেয়ের নামে ১০ টাকার চালের কার্ড ছিল। পরে ৪০ দিনের কাজে ওর নাম দেওয়ায় চালের কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ভিক্ষুক হয়েও মসজিদে ১৩ হাজার টাকা অনুদান জবেদার

আপডেট সময় : ১২:১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

০৫ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিধবা মেয়ে ও এক নাতনীকে নিয়ে কষ্টের সংসার বৃদ্ধা জবেদা বেগমের। ভিক্ষা করে পেট চলে তার। ভিক্ষাবৃত্তি সমাজের চোখে সম্মানহীন হলেও জবেদার বেলায় সেটি ভিন্ন হয়ে উঠেছে। মর্যাদাহীন এই বৃদ্ধা সমাজের চোখে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার উৎস।

ভিক্ষার টাকা জমিয়ে পাড়ার মসজিদে তিনি অনুদান দিয়েছেন ১৩ হাজার টাকা। সেই থেকে গ্রামে আলোচিত তিনি। প্রমাণ করেছেন, দান করতে বিত্তশালী হওয়া লাগে না, লাগে সুন্দর একটি মন। জবেদা বেগম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বাগডাঙা গ্রামের মৃত চিনেতুল্লা বিশ্বাসের স্ত্রী। ২৫ বছর আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান চিনেতুল্লা। বেঁচে থাকতে তিনিও ভিক্ষা করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমে পড়েন জবেদা।

স্থানীয়রা বলছেন, করোনাকালীন এক ভিক্ষুক টাকা সহযোগিতা করে সরকারি ঘর পেয়েছেন। আমরা চাই ভিক্ষুক জবেদাও যেন সরকারি সহায়তা পায়। তাকে যেন শেষ বয়সে আর ভিক্ষা করতে না হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, জবেদা সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য। আমরা চাই সে যেন সরকারি ঘর পায়।

স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য লতিফা বেগম পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ভিক্ষা করে আত্মারে কিছু দেয় না জবেদা। টাকা জমিয়ে বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসায় দান করেন। তার মেয়ের নামে ১০ টাকার চালের কার্ড ছিল। পরে ৪০ দিনের কাজে ওর নাম দেওয়ায় চালের কার্ড বাতিল করা হয়েছে।