ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

৯ মে ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ছুটছে। কিন্তু আপনারা এই যে একসাথে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরিতে হোক, গাড়িতে হোক যেখানে হোক কার যে করোনাভাইরাস আছে, আপনি জানেন না কিন্তু আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আপনার পরিবারের কাছে। মা-বাবা ভাই-বোন দাদা-দাদি যেই থাক আপনি কিন্তু তাকেও সংক্রমিত করবেন, তার জীবনটাও মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলে দিবেন। ঈদে নিজের ঘরে থাকতে কি ক্ষতিটা হয়? কাজেই আপনারা ছোটাছুটি না করে যে যেখানেই আছেন সে সেখানে থাকেন। সেখানেই নিজের মতো করে ঈদ উদযাপন করেন।

রোববার (০৯ মে) সকালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অবশিষ্ট মূল অধিবাসী এবং সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত সমন্বয়ে মোট ১৪৪০ জনের মধ্যে প্লট বরাদ্দ-পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী কথাগুলো বলেন। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্লট প্রাপ্ত গ্রাহকগণ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

দেশবাসীর উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সময় আপনারা একটু মাস্ক পরে থাকবেন, সাবধানে থাকবেন। কারণ আবার নতুন একটা ধরণ এসেছে এটা আরও বেশি ক্ষতিকর। যাকে ধরে সাথে সাথে তার মৃত্যু হয়। সেজন্য আপনি নিজে সুরক্ষিত থাকবেন, অপরকে সুরক্ষা দেন।

তিনি বলেন, রমজান মাস। আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যেন এই করোনাভাইরাস থেকে আমাদের দেশ মুক্তি পায়, দেশে মানুষ যেন মুক্তি পায় আর যেন প্রাণহানি না হয়। শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বব্যাপী এই করোনার জন্য কত মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশে প্রতিদিন কত লোক মারা যাচ্ছে এবং এই প্রতিবেশী দেশে যখন হয় স্বাভাবিকভাবে তখন আমাদের দেশে আসার একটা সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদেরকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। সমগ্র দেশবাসীকে বলছি আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। নিজের ভালোর চিন্তা করেন, সাথে সাথে আপনার পরিবারের ভালো চিন্তা করেন।

প্লট প্রাপ্তদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনাদের হাতে আপনাদের প্রাপ্য তুলে দিতে পেরেছি এটা আমার জন্য সত্যি আনন্দের। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি একটি মানুষ গৃহহীন থাকবে না। যেটুকু পারি যেভাবে পারি মানুষের জন্য করার সেটা আমরা করে দিব। প্রত্যেকটা ঘরেই বিদ্যুৎ থাকবে আলো জ্বলবে। প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষিত মানুষ থাকবে লেখাপড়া শিখবে। সেই লেখাপড়া শুধু কিতাবি পড়া না সাথে সাথে ভোকেশনাল ট্রেনিং নিবে কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। শুধু বিএ এমএ পাশ করলে হবে না চাকরির পিছনে ছুটলে হবে না নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষাদিক্ষা জ্ঞানের সবদিক থেকে এদেশে মানুষ উন্নত হবে। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে। আমাদের মনে রাখতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলবো।  আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধশালী হবে উন্নত হবে এবং বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বাচল একটি পরিকল্পিত শহর। পূর্বাচল ঝিলমিল আরো বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠছে। ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে নয় প্রতিটি বিভাগ এবং জেলাতেও এ ধরনের পরিকল্পিত বাড়ি যেন মানুষ করতে পারে, মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় আমরা সেই চেষ্টাই করছি। প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। প্রতিটি গ্রামের মানুষ যেন ভালোভাবে বসবাসের সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি চেষ্টা করে যাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ঈদে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে

আপডেট সময় : ০২:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

৯ মে ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ছুটছে। কিন্তু আপনারা এই যে একসাথে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরিতে হোক, গাড়িতে হোক যেখানে হোক কার যে করোনাভাইরাস আছে, আপনি জানেন না কিন্তু আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আপনার পরিবারের কাছে। মা-বাবা ভাই-বোন দাদা-দাদি যেই থাক আপনি কিন্তু তাকেও সংক্রমিত করবেন, তার জীবনটাও মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলে দিবেন। ঈদে নিজের ঘরে থাকতে কি ক্ষতিটা হয়? কাজেই আপনারা ছোটাছুটি না করে যে যেখানেই আছেন সে সেখানে থাকেন। সেখানেই নিজের মতো করে ঈদ উদযাপন করেন।

রোববার (০৯ মে) সকালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অবশিষ্ট মূল অধিবাসী এবং সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত সমন্বয়ে মোট ১৪৪০ জনের মধ্যে প্লট বরাদ্দ-পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী কথাগুলো বলেন। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্লট প্রাপ্ত গ্রাহকগণ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

দেশবাসীর উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সময় আপনারা একটু মাস্ক পরে থাকবেন, সাবধানে থাকবেন। কারণ আবার নতুন একটা ধরণ এসেছে এটা আরও বেশি ক্ষতিকর। যাকে ধরে সাথে সাথে তার মৃত্যু হয়। সেজন্য আপনি নিজে সুরক্ষিত থাকবেন, অপরকে সুরক্ষা দেন।

তিনি বলেন, রমজান মাস। আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যেন এই করোনাভাইরাস থেকে আমাদের দেশ মুক্তি পায়, দেশে মানুষ যেন মুক্তি পায় আর যেন প্রাণহানি না হয়। শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বব্যাপী এই করোনার জন্য কত মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশে প্রতিদিন কত লোক মারা যাচ্ছে এবং এই প্রতিবেশী দেশে যখন হয় স্বাভাবিকভাবে তখন আমাদের দেশে আসার একটা সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদেরকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। সমগ্র দেশবাসীকে বলছি আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। নিজের ভালোর চিন্তা করেন, সাথে সাথে আপনার পরিবারের ভালো চিন্তা করেন।

প্লট প্রাপ্তদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনাদের হাতে আপনাদের প্রাপ্য তুলে দিতে পেরেছি এটা আমার জন্য সত্যি আনন্দের। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি একটি মানুষ গৃহহীন থাকবে না। যেটুকু পারি যেভাবে পারি মানুষের জন্য করার সেটা আমরা করে দিব। প্রত্যেকটা ঘরেই বিদ্যুৎ থাকবে আলো জ্বলবে। প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষিত মানুষ থাকবে লেখাপড়া শিখবে। সেই লেখাপড়া শুধু কিতাবি পড়া না সাথে সাথে ভোকেশনাল ট্রেনিং নিবে কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। শুধু বিএ এমএ পাশ করলে হবে না চাকরির পিছনে ছুটলে হবে না নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষাদিক্ষা জ্ঞানের সবদিক থেকে এদেশে মানুষ উন্নত হবে। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে। আমাদের মনে রাখতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলবো।  আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধশালী হবে উন্নত হবে এবং বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বাচল একটি পরিকল্পিত শহর। পূর্বাচল ঝিলমিল আরো বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠছে। ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে নয় প্রতিটি বিভাগ এবং জেলাতেও এ ধরনের পরিকল্পিত বাড়ি যেন মানুষ করতে পারে, মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় আমরা সেই চেষ্টাই করছি। প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। প্রতিটি গ্রামের মানুষ যেন ভালোভাবে বসবাসের সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি চেষ্টা করে যাবো।