ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোয়াড নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি:পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

১১ মে ২০২১,আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট ‘কোয়াডথ-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে চীন আগ বাড়িয়ে কথা বলেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

চীনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে চীন আগ বাড়িয়ে কথা বলেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

চীনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মঙ্গলবার (১১ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোয়াড নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশের স্বার্থ চিন্তা করেই বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ড. মোমেন বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ বাড়িয়ে বলেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, এখানে কারও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরাই ঠিক করব, চীনা রাষ্ট্রদূত কী বললেন সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপ’ করবে।

এর আগে গত মাসের শেষ সপ্তাহে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফর করেন। সেই সময় কোয়াড, আইপিএস নিয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছিল চীন।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন‘ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রল্যাটারাল সিকিওরিটি ডায়ালগ) নামে এই কৌশলগত জোটের সংলাপের সূচনা হয়। মূলত চীনকে ঠেকাতেই এই উদ্যোগ।

মঙ্গলবার (১১ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোয়াড নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশের স্বার্থ চিন্তা করেই বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ড. মোমেন বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ বাড়িয়ে বলেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, এখানে কারও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরাই ঠিক করব, চীনা রাষ্ট্রদূত কী বললেন সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপথ করবে।

এর আগে গত মাসের শেষ সপ্তাহে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফর করেন। সেই সময় কোয়াড, আইপিএস নিয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছিল চীন।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন‘ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াডথ (কোয়াড্রল্যাটারাল সিকিওরিটি ডায়ালগ) নামে এই কৌশলগত জোটের সংলাপের সূচনা হয়। মূলত চীনকে ঠেকাতেই এই উদ্যোগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

কোয়াড নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি:পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:৪৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

১১ মে ২০২১,আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট ‘কোয়াডথ-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে চীন আগ বাড়িয়ে কথা বলেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

চীনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে চীন আগ বাড়িয়ে কথা বলেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

চীনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মঙ্গলবার (১১ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোয়াড নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশের স্বার্থ চিন্তা করেই বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ড. মোমেন বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ বাড়িয়ে বলেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, এখানে কারও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরাই ঠিক করব, চীনা রাষ্ট্রদূত কী বললেন সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপ’ করবে।

এর আগে গত মাসের শেষ সপ্তাহে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফর করেন। সেই সময় কোয়াড, আইপিএস নিয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছিল চীন।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন‘ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রল্যাটারাল সিকিওরিটি ডায়ালগ) নামে এই কৌশলগত জোটের সংলাপের সূচনা হয়। মূলত চীনকে ঠেকাতেই এই উদ্যোগ।

মঙ্গলবার (১১ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোয়াড নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশের স্বার্থ চিন্তা করেই বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ড. মোমেন বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ বাড়িয়ে বলেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, এখানে কারও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরাই ঠিক করব, চীনা রাষ্ট্রদূত কী বললেন সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপথ করবে।

এর আগে গত মাসের শেষ সপ্তাহে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফর করেন। সেই সময় কোয়াড, আইপিএস নিয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছিল চীন।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন‘ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াডথ (কোয়াড্রল্যাটারাল সিকিওরিটি ডায়ালগ) নামে এই কৌশলগত জোটের সংলাপের সূচনা হয়। মূলত চীনকে ঠেকাতেই এই উদ্যোগ।