ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের বাজারে আগুন!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:০০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১ ২১৬ বার পড়া হয়েছে

৫ জুন ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

গেল কয়েক সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২০ ডলারের ওপরে বাড়লেও সপ্তাহজুড়ে কমেছে দামি এই ধাতুর দাম।

স্বর্ণের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে রূপা ও প্লাটিনামের দামেও বেশ অস্থিরতা দেখা গেছে। স্বর্ণের মতো এই দুই ধাতুর দাম সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বেড়েছে। তবে পুরো সপ্তাহের হিসেবে দাম কমেছে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোশ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় দুই মাস ধরে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকে।

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দুথদফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সর্বশেষ গত ২৩ মে থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্বর্ণের এই দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস জানায়, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা (উপকরণ কর রেয়াত) ও নানা ধরনের দাফতরিক জটিলতার কারণে গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণবার আমদানি করতে পারছে না। তাছাড়া চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকায় দেশীয় বুলিয়ান/পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশে যখন স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮৮১ ডলার। গত সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার পর তা বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ দশমিক ২০ ডলারে উঠে। তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বড় দরপতন হলেও পরবর্তী আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭০ ডলারে নেমে আসে। ফলে সপ্তাহ শেষে স্বর্ণের বড় দরপতন হবে এমন ধারণা করা হচ্ছিল।

কিন্তু শেষ কার্যদিবস শুক্রবার ঘুরে দাঁড়ায় স্বর্ণের বাজার। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বাড়ে ২০ দশমিক ২০ ডলার। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯০ দশমিক ৮৫ ডলার। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক ৬২ শতাংশ বা ১২ দশমিক ৩৫ ডলার।

স্বর্ণের পাশাপাশি গেল সপ্তাহে কমেছে রূপার দাম। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ১ দশমিক ২০ শতাংশ দাম বাড়ার পরও সপ্তাহ শেষে রূপার দাম কমেছে দশমিক ৩৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স রূপার দাম দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৭৮ বলাতে।

আর এক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বেড়েছে দশমিক ৭১ শতাংশ। এরপরও সপ্তাহ শেষে এই ধাতুটির দাম কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬৫ দশমিক ২৭ ডলারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের বাজারে আগুন!

আপডেট সময় : ০৩:০০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

৫ জুন ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

গেল কয়েক সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২০ ডলারের ওপরে বাড়লেও সপ্তাহজুড়ে কমেছে দামি এই ধাতুর দাম।

স্বর্ণের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে রূপা ও প্লাটিনামের দামেও বেশ অস্থিরতা দেখা গেছে। স্বর্ণের মতো এই দুই ধাতুর দাম সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বেড়েছে। তবে পুরো সপ্তাহের হিসেবে দাম কমেছে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোশ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় দুই মাস ধরে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকে।

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দুথদফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সর্বশেষ গত ২৩ মে থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্বর্ণের এই দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস জানায়, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা (উপকরণ কর রেয়াত) ও নানা ধরনের দাফতরিক জটিলতার কারণে গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণবার আমদানি করতে পারছে না। তাছাড়া চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকায় দেশীয় বুলিয়ান/পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশে যখন স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮৮১ ডলার। গত সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার পর তা বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ দশমিক ২০ ডলারে উঠে। তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বড় দরপতন হলেও পরবর্তী আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭০ ডলারে নেমে আসে। ফলে সপ্তাহ শেষে স্বর্ণের বড় দরপতন হবে এমন ধারণা করা হচ্ছিল।

কিন্তু শেষ কার্যদিবস শুক্রবার ঘুরে দাঁড়ায় স্বর্ণের বাজার। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বাড়ে ২০ দশমিক ২০ ডলার। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯০ দশমিক ৮৫ ডলার। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক ৬২ শতাংশ বা ১২ দশমিক ৩৫ ডলার।

স্বর্ণের পাশাপাশি গেল সপ্তাহে কমেছে রূপার দাম। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ১ দশমিক ২০ শতাংশ দাম বাড়ার পরও সপ্তাহ শেষে রূপার দাম কমেছে দশমিক ৩৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স রূপার দাম দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৭৮ বলাতে।

আর এক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বেড়েছে দশমিক ৭১ শতাংশ। এরপরও সপ্তাহ শেষে এই ধাতুটির দাম কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬৫ দশমিক ২৭ ডলারে।