জিনের ভয় দেখিয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ
- আপডেট সময় : ০২:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ ১৭১ বার পড়া হয়েছে
১৭ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাজবাড়ীর পাংশায় জিনের সাহায্যে পুরো পরিবারকে বড়লোক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে সবুর প্রামাণিক (৫৫) নামের এক ভন্ড সাধুর বিরুদ্ধে নবম ও দশম শ্রেণিপড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্যাইবুনাল আদালতে দুটি মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সবুর প্রামাণিক রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের প্রাণপুর গ্রামের মৃত ভোলা প্রামাণিকের ছেলে।
নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাবা এবং দশম শ্রেণির ছাত্রীর বোন বাদী হয়ে নারী শিশু ও নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় পৃথকভাবে দুটি মামলা করেছেন। আদালত রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।
ভুক্তভোগী নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে, কথিত সাধু সবুর আমাকেসহ আমাদের পরিবারের সদস্যদের জিন ও পরীর ভয় দেখান। গত মে মাসের শেষ দিকে একদিন রাতে সবুর তার বাবাকে বলেন, এক গ্লাস পানি নিয়ে আমাকে বাড়ির পাশে থাকা একটি তালগাছের নিচে যেতে। আমি সেখানে গেলে নানা ধরনের কথা বলে এবং সে জোর করে আমার হাত বেঁধে ফেলে।
সে আরো বলে, আমি চিৎকার দিতে গেলে সে আমাকে ভয় দেখায়। জিন নাকি আমার বাবাকে মেরে ফেলবে এবং এ কথা কাউকে বললে আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। তাকে টানা ৪১ দিন জিনের ইচ্ছা পূরণ করতে হবে। এতেই নাকি আমাদের ভাগ্যর পরিবর্তন হয়ে যাবে। এসব কথা বলে তাকে দুবার ধর্ষণ করে।
অপর ভুক্তভোগী দশম শ্রেণির ছাত্রী বলে, আমি বেশ কিছুদিন ধরে আমার বোনের বাড়িতে অবস্থান করছি। ওই বাড়িতে লম্পট সবুর আসে। সে তার বোন ও দুলাভাইকে বড়লোক করে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। একই সঙ্গে তাকে (ওই ছাত্রীকে) সবুর তার নিজ বাড়িতে কথিত জিনের আসর বসানোর কথা বলে। আর এই আসর না বসালে বড় রকমের ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখায়।
সে আরো বলে, গত মে মাসের শেষ দিকে একদিন রাতে সবুরের বাড়িতে কথিত জিনের আসরে আমাকে নেয় সবুর। প্রথমে আমাকে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে বলে। আমি নামাজ শেষ করতেই সে ঘরের আলো নিভিয়ে দেয়। এরপর সাধু সবুর একটি কালো রঙের জুব্বা পরে আমার সামনে আসে। সে তখন আমাকে বলে, আমি এখন জিন সবুরের রূপে তোমার কাছে আসছি। আমার ইচ্ছা পূরণ করতে হবে। এরপর একই ধরণের ভয় দেখিয়ে আমাকে চারবার ধর্ষণ করে। পরে আমি বিষয়টি আমার বোনকে জানাই।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, ওই সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে সদ্য বিদায়ী ওসি শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও ঘটনার পর থেকেই ভণ্ড সাধু সবুর মন্ডল পলাতক বয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।