প্রেমিকের আবদার পূরণ করতে গিয়ে সর্বনাশ হলো তরুণীর
- আপডেট সময় : ১০:১৪:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে
১৮ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
প্রেমিকের ছোটখাটো আবদার পূরণ করতে গিয়ে সর্বনাশ হলো কলেজপড়ুয়া এক তরুণীর।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়ায় কলেজপড়ুয়া একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর (১৮) সঙ্গে বিগত তিন বছর আগে বান্দরবান জেলার লামা থানার কেদারবাদ গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিনের পুত্র মো. নাঈম উদ্দিনের (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
নাঈমের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে কথা হতো। প্রায়ই প্রেমিকের ছোটখাটো আবদার পূরণ করতেন ওই ছাত্রী। একসময় প্রেমিক নাঈম তার একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করতে চায়। প্রথমে রাজি না হলেও বিশ্বাস এবং ভালোবাসার শপথ করলে ভিডিওকলে নাঈমের সামনে আসে তরুণী। সেই সুযোগে নাঈম তরুণীর আপত্তিকর কিছু ছবি স্ক্রিনশট ও ভিডিওচিত্র ধারণ করে নেয়।
একপর্যায়ে তরুণীর সঙ্গে একান্তে দেখা করতে ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে প্রেমিক নাঈম বান্দরবনের লামা থেকে চকরিয়া আসে এবং স্থানীয় লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তরুণীর শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং তা তার ব্যক্তিগত মোবাইলে রেকর্ড করে রাখে। ভোর হওয়ার আগেই নাঈম কৌশলে তরুণীর ঘর থেকে সটকে পড়ে। এরপর থেকে প্রেমিক নাঈমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে তরুণী কল করলে নাঈম কল রিসিভ করে না।
একপর্যায়ে কল রিসিভ করলেও নাঈম তরুণীকে তার মোবাইলে কল দিতে নিষেধ করে এবং কল দিলে তাদের একান্ত মুহূর্তের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি নাঈম তরুণীর নামে একটি ফেক ফেসবুক আইডি খুলে তরুণীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে। তরুণীর মা বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেন এবং চকরিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেন।
এরপর ১৭ জুন রাত ৮টার দিকে পুলিশ বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ারছড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রতারক প্রেমিক মো. নাঈমকে গ্রেফতার করে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মুহাম্মদ যুবায়ের বলেন, বাদীর দায়েরকৃত আবেদনের আলোকে অভিযুক্ত মো. নাঈম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।