ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ বছর ধরে মানবপাচারে জড়িত নদী, ব্যবহার করতো ১০ নাম

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:১০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ ২২০ বার পড়া হয়েছে

২২ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের অন্যতম সদস্য নদী আক্তার ইতি ওরফে জয়া আক্তার জান্নাত (২৮) ১০টি নাম ব্যবহার করে তিন দেশে (ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাই) নারী পাচার করতেন। নারী পাচারে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কখনও জলি, কখনও নুরজাহান, কখনওবা নদী- এভাবে পাচারের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতেন ভিন্ন ভিন্ন নাম।

১৫ বছর ধরে মানবপাচারে সরাসরি জড়িত নদী। ভারত, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশে নারী পাচারের কাজে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন তিনি। জানেন ৫টি ভাষা।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।

সোমবার নড়াইল ও যশোর সীমান্ত থেকে নদী আক্তার ইতিসহ মানবপাচার চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে তেজগাঁও বিভাগের হাতিরঝিল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- আল আমিন হোসেন (২৮), আমিরুল ইসলাম (৩০), তরিকুল ইসলাম (২৬), বিনাশ শিকদার (৩৩) সাইফুল ইসলাম (২৮) ও পলক মন্ডল (২৬)।

সম্প্রতি ভারতে বাংলাদেশি তরুণী নির্যাতনের পর টিকটক হৃদয়সহ বেশ কয়েকজন আটকের পর উঠে আসে নদীর নাম।

মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘পাচারের জন্য আনা মেয়েদের যশোর সীমান্তের বিভিন্ন বাড়িতে রাখা হতো। এরপর তাদের ভারতে পাচার করত চক্রটি। প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্য এক হাজার টাকা করে নেয়। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য তাকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতো। নদী আক্তার ইতি নারী পাচার ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার নামে যশোরের শার্শা থানায় দুটি মাদক মামলা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজীব হোসেনের সঙ্গে নদীর ২০০৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের ১০ বছর পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় রাজীব। এরপর থেকেই নদী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পাচার করা নারীদের কাছে তিনি নদী হিসেবে পরিচয় দিলেও ভারতে তাকে সবাই ইতি নামে চেনে। বাংলাদেশি পাসপোর্টে তার নাম নুর জাহান থাকলেও, ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম জয়া আক্তার জান্নাত, সাতক্ষীরা সীমান্তে তার নাম জলি, যশোর সীমান্তে তিনি প্রীতি নামে পরিচিত।’

ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘গ্রেপ্তার আল আমিন হোসেন ২০২০ সালে নারী পাচার করতে গিয়ে বিএসএফ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়। সে পাচারের উদ্দেশে আনা মেয়েদের তার বাড়িতে রেখে সুযোগমতো ভারতে পাঠাত। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলামের শর্শার পাঁচভুলট বাজারে মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা আছে। মানব পাচারে জড়িত ইস্রাফিল হোসেন খোকন, আব্দুল হাই, সবুজ, আল আমিন ও একজন ইউপি সদস্য তার মাধ্যমে মানবপাচার থেকে অর্জিত অর্থ বিকাশে লেনদেন করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে সে মানবপাচারে জড়িত ব্যক্তিদের সতর্ক করে। বিকাশ ট্রানজেকশনে ব্যবহৃত মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তার পলক মন্ডল যশোরের মনিরামপুর ঢাকুরিয়া স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর ভারতের নলকড়া গ্রামে নানা বাড়িতে যায়। পঞ্চগ্রাম স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করে বিএএমএস (ব্যাচালর অফ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) ডিগ্রি নিয়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শুরু করে। বেনাপোলের ইস্রাফিল হোসেন খোকন, ভারতে অবস্থানকারী বকুল ওরফে খোকন, তাসলিমা ওরফে বিউটি ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিতে আসা গ্রামের দরিদ্র মেয়েদের ব্যাঙ্গালুরুতে তাসলিমা ওরফে বিউটি নামে একজনের কাছে পাঠানোর মাধ্যমে নারী পাচারের হাতেখড়ি। পরে বাংলাদেশ থেকে পাচারকরা মেয়েদের আধার কার্ড প্রস্তুত করে দেওয়ার পাশাপাশি সেফ হোমে অবস্থান এবং ব্যাঙ্গালুরে নির্ধারিত স্থানে পাঠানোর দায়িত্ব নেয়।’

মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘পলক মন্ডল ভারতীয় আধার কার্ড ও ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত আইডি কার্ডধারী। সে উত্তর প্রদেশের গোরাক্ষপুরের বড়ালগঞ্জ থানার নেওয়াদা গ্রামেও থেকেছে। তার ভারতীয় আধার কার্ড, সেদেশের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আইডি কার্ড, ভারতীয় আয়কর বিভাগ দেওয়া আইডি কার্ড, ভারতীয় সিম কার্ড ও একজন ভিকটিমের আধার কার্ড জব্দ করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তার বিনাশ সিকদার নড়াইলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছে। সে বেনাপোলে বাসা ভাড়া নিয়ে পাসপোর্ট ফরম পূরণের কাজ করত। তার স্ত্রী সোনালী সিকদার ভারতীয় নাগরিক। বেনাপোলে পাসপোর্ট ফরম পূরণের কাজ করতে গিয়ে ইস্রাফিল হোসেন খোকন, আব্দুল হাই সবুজসহ মানব পাচারকারী চক্রের আরও কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এর সূত্রধরে মানব পাচারের জড়িয়ে পড়ে সে। ভারতে উচ্চ বেতনে চাকরি বা প্রলোভন দেখিয়ে আনা নারীদের ইস্রাফিল হোসেন খোকন, আল আমিন, তরিকুল, আমিরুলসহ আরও কয়েকজনের মাধ্যমে সীমান্ত পার করে ভারতীয় দালালদের কাছে পৌঁছে দিত বিনাশ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।’

টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও ভারতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সঙ্গে নদীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে নদীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাই ওই ভিডিওর সঙ্গেও নদীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, নায়িকা পরীমণিকে হেনস্থার ঘটনার মূলহোতা অমিরও মানবপাচারের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

১৫ বছর ধরে মানবপাচারে জড়িত নদী, ব্যবহার করতো ১০ নাম

আপডেট সময় : ১০:১০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

২২ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের অন্যতম সদস্য নদী আক্তার ইতি ওরফে জয়া আক্তার জান্নাত (২৮) ১০টি নাম ব্যবহার করে তিন দেশে (ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাই) নারী পাচার করতেন। নারী পাচারে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কখনও জলি, কখনও নুরজাহান, কখনওবা নদী- এভাবে পাচারের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতেন ভিন্ন ভিন্ন নাম।

১৫ বছর ধরে মানবপাচারে সরাসরি জড়িত নদী। ভারত, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশে নারী পাচারের কাজে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন তিনি। জানেন ৫টি ভাষা।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।

সোমবার নড়াইল ও যশোর সীমান্ত থেকে নদী আক্তার ইতিসহ মানবপাচার চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে তেজগাঁও বিভাগের হাতিরঝিল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- আল আমিন হোসেন (২৮), আমিরুল ইসলাম (৩০), তরিকুল ইসলাম (২৬), বিনাশ শিকদার (৩৩) সাইফুল ইসলাম (২৮) ও পলক মন্ডল (২৬)।

সম্প্রতি ভারতে বাংলাদেশি তরুণী নির্যাতনের পর টিকটক হৃদয়সহ বেশ কয়েকজন আটকের পর উঠে আসে নদীর নাম।

মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘পাচারের জন্য আনা মেয়েদের যশোর সীমান্তের বিভিন্ন বাড়িতে রাখা হতো। এরপর তাদের ভারতে পাচার করত চক্রটি। প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্য এক হাজার টাকা করে নেয়। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য তাকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতো। নদী আক্তার ইতি নারী পাচার ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার নামে যশোরের শার্শা থানায় দুটি মাদক মামলা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজীব হোসেনের সঙ্গে নদীর ২০০৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের ১০ বছর পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় রাজীব। এরপর থেকেই নদী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পাচার করা নারীদের কাছে তিনি নদী হিসেবে পরিচয় দিলেও ভারতে তাকে সবাই ইতি নামে চেনে। বাংলাদেশি পাসপোর্টে তার নাম নুর জাহান থাকলেও, ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম জয়া আক্তার জান্নাত, সাতক্ষীরা সীমান্তে তার নাম জলি, যশোর সীমান্তে তিনি প্রীতি নামে পরিচিত।’

ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘গ্রেপ্তার আল আমিন হোসেন ২০২০ সালে নারী পাচার করতে গিয়ে বিএসএফ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়। সে পাচারের উদ্দেশে আনা মেয়েদের তার বাড়িতে রেখে সুযোগমতো ভারতে পাঠাত। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলামের শর্শার পাঁচভুলট বাজারে মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা আছে। মানব পাচারে জড়িত ইস্রাফিল হোসেন খোকন, আব্দুল হাই, সবুজ, আল আমিন ও একজন ইউপি সদস্য তার মাধ্যমে মানবপাচার থেকে অর্জিত অর্থ বিকাশে লেনদেন করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে সে মানবপাচারে জড়িত ব্যক্তিদের সতর্ক করে। বিকাশ ট্রানজেকশনে ব্যবহৃত মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তার পলক মন্ডল যশোরের মনিরামপুর ঢাকুরিয়া স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর ভারতের নলকড়া গ্রামে নানা বাড়িতে যায়। পঞ্চগ্রাম স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করে বিএএমএস (ব্যাচালর অফ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) ডিগ্রি নিয়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শুরু করে। বেনাপোলের ইস্রাফিল হোসেন খোকন, ভারতে অবস্থানকারী বকুল ওরফে খোকন, তাসলিমা ওরফে বিউটি ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিতে আসা গ্রামের দরিদ্র মেয়েদের ব্যাঙ্গালুরুতে তাসলিমা ওরফে বিউটি নামে একজনের কাছে পাঠানোর মাধ্যমে নারী পাচারের হাতেখড়ি। পরে বাংলাদেশ থেকে পাচারকরা মেয়েদের আধার কার্ড প্রস্তুত করে দেওয়ার পাশাপাশি সেফ হোমে অবস্থান এবং ব্যাঙ্গালুরে নির্ধারিত স্থানে পাঠানোর দায়িত্ব নেয়।’

মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘পলক মন্ডল ভারতীয় আধার কার্ড ও ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত আইডি কার্ডধারী। সে উত্তর প্রদেশের গোরাক্ষপুরের বড়ালগঞ্জ থানার নেওয়াদা গ্রামেও থেকেছে। তার ভারতীয় আধার কার্ড, সেদেশের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আইডি কার্ড, ভারতীয় আয়কর বিভাগ দেওয়া আইডি কার্ড, ভারতীয় সিম কার্ড ও একজন ভিকটিমের আধার কার্ড জব্দ করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তার বিনাশ সিকদার নড়াইলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছে। সে বেনাপোলে বাসা ভাড়া নিয়ে পাসপোর্ট ফরম পূরণের কাজ করত। তার স্ত্রী সোনালী সিকদার ভারতীয় নাগরিক। বেনাপোলে পাসপোর্ট ফরম পূরণের কাজ করতে গিয়ে ইস্রাফিল হোসেন খোকন, আব্দুল হাই সবুজসহ মানব পাচারকারী চক্রের আরও কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এর সূত্রধরে মানব পাচারের জড়িয়ে পড়ে সে। ভারতে উচ্চ বেতনে চাকরি বা প্রলোভন দেখিয়ে আনা নারীদের ইস্রাফিল হোসেন খোকন, আল আমিন, তরিকুল, আমিরুলসহ আরও কয়েকজনের মাধ্যমে সীমান্ত পার করে ভারতীয় দালালদের কাছে পৌঁছে দিত বিনাশ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।’

টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও ভারতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সঙ্গে নদীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে নদীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাই ওই ভিডিওর সঙ্গেও নদীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, নায়িকা পরীমণিকে হেনস্থার ঘটনার মূলহোতা অমিরও মানবপাচারের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।