রূপগঞ্জে আগুনের ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে কঠোর ব্যবস্থা: র্যাব ডিজি
- আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
০৯ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাদের অবহেলা ও গাফিলতি রয়েছে তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুলাহ আল মামুন। তিনি বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের র্যাব ডিজি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় যাদের গাফিলতি রয়েছে তাদের নাম বেরিয়ে আসবে। তদন্তে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্টদের উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে এখানে এসেছি।
র্যাব ডিজি বলেন, এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আলাদা আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে তারা প্রতিবেদনে কারণ উল্লেখ করে জমা দেবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ডাম্পিংয়ের কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনের অন্য কোনো তলায় মরদেহ রয়েছে কিনা তা তল্লাশি করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর বাকি তিনজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন। এ ঘটনায় মোট ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে তল্লাশি করা হচ্ছে। আশা করছি ভবনের ভেতরে আর কোনো মরদেহ নেই। বর্তমানে ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে এক এক করে ৪৯টি পোড়া মরদেহ বের করে আনা হয়েছে। মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। এছাড়া আহত হন আরও অন্তত ৫০ জন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ১১০ জন ফায়ার সদস্য শুক্রবার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সাত তলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচ তলার একটি ফ্লোরের কার্টন থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কালো ধোঁয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। আবার কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করেন।