৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২,আজকের মেঘনা ডটকম, মেঘনা প্রতিনিধি :

বর্তমান সরকারের দুঃশাসন দুর্নীতি ও সর্বক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট ড.খন্দকার মারুফ হোসেন বলেছেন সরকারের নেতৃত্বে আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা অসাধু ব্যবসায়ী সিণ্ডিকেট ইচ্ছেমতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে সরকারের কার্যকর কোনো ভূমিকা দৃশ্যমান নেই।

গতকাল শনিবার মুগার চর লন্ডনী বাড়িতে চাল,ডাল,তেল,গ্যাস,বিদ্যুৎ,পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে মেঘনা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সরকারের সঞ্চালনায় ও সভাপতি রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন  কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল হক শাহিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল ওয়াদুদ মুন্সি, সলিমুল্লাহ মোহাম্মদ, শাহাবুদ্দিন, এম এম মিজানুর রহমান, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা শিরিন,উপজেলা  যুবদলের আহবায়ক আতাউর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান লোদী, কামরুজ্জামান দিপু  সহ অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ড.মারুফ আরও বলেন
দ্রব্যমূল্যের নৈরাজ্যে ঘরেবাইরে দেশের মানুষ কোথাও শান্তিতে নেই। দিকবিদিকশুন্য হয়ে মানুষ ছুটাছুটি করছে।
সর্বত্র হাহাকার ও চরম আতংক বিরাজমান। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা জনগণের দুর্দশাকে নিয়ে উপহাস করছে। ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে’- বাণিজ্য মন্ত্রীর এমন মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার সামিল।

ড.খন্দকার মারুফ বলেন,বিএনপি ও আ’লীগের রাজনৈতিক দর্শনের মৌলিক অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিএনপি জনগণের কল্যাণে, দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজনীতি করে। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনুসৃত ১৯ দফা কর্মসূচির মধ্যে জনগণের কল্যাণে উন্নয়ন উৎপাদনের সব প্রতিপাদ্য বিষয় নিহিত রয়েছে। আর আ’লীগের রাজনীতি হচ্ছে–স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া, নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার,জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা এবং জোর করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা। তিনি বিএনপি সরকার ও আ’লীগ সরকারের শাসনামলের দ্রব্যমূল্যের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। গভীর রাতের ভোট জালিয়াতির সরকার। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই,তাদের সামান্যতম দয়ামায়াও নেই।
ড.মারুফ বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কষাঘাতে আজকে মধ্যবিত্ত,নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবন নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। টিসিবি’র ট্রাকে লাইনে দাঁড়িয়েও মানুষ খাদ্যপণ্য কিনতে পারছে না। এই সরকার ১০টাকা কেজি দামে চাল খাওয়াবে বলে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়েছে।
ড.খন্দকার মারুফ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন,দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন, নইলে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। দেশের মানুষ আপনাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখত চায় না। আওয়ামী জিম্মিদশা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রেখেছিলেন, আ’লীগ তাদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার অসৎ উদ্দেশ্যে তা বাতিল করেছে। এখন দেশে আর কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে না।
তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। আইনের শাসন, গণতন্ত্র,মানবাধিকার বলতে কিছুই আর
অবশিষ্ট নেই ।
ড.মারুফ বলেন,২০১৪ সালে বিনাভোটে এবং ২০১৮-এর নির্বাচনে গভীর রাতে ভোট ডাকাতি করে আ’লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে।
বিএনপির এই তরুণ নেতা বলেন,বর্তমান সরকারের স্বৈরশাসন,গুম,বিচারবহির্ভূত খুন, অপহরণ,দুর্নীতি-দুঃশাসন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি জাতির জন্য দূর্ভাগ্যজনক।
ড.খন্দকার মারুফ হোসেন বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি,দেশনায়ক তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন,দেশ ও জনগণকে রক্ষায় আওয়ামী লীগ হঠাতে আন্দোলনে নামতে নেতাকর্মীদের উদাত্ত আহ্বান জানান।