জঙ্গি হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে পরপর দুই রাতে এ ঘটনা ঘটল।
ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের ফের গোলাগুলি

- আপডেট সময় : ১২:১১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার জেরে উত্তেজনার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাতে কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্তে এই গোলাগুলি ঘটে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এর আগের রাতেও দুই পক্ষের মধ্যে একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
ভারতের সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবার রাতে সীমান্তের ওপারের একাধিক সেনা চৌকি থেকে গুলি ছোড়া হয়। তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনারা।
ভারতের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “২০২৫ সালের ২৫-২৬ এপ্রিল রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে একাধিক পাকিস্তান সেনা চৌকি থেকে বিনা উসকানিতে ছোট আকারে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনারা ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।”
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও ডজনের বেশি আহতের ঘটনা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র করেছে। এই ঘটনায় ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে একটি সংগঠন দায় স্বীকার করেছে।
এই সংগঠনটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা। টিআরএফ এর পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সমর্থন আছে বলে ধারণা করা হয়।
লস্কর ই তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতের মুম্বাইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার হোতা হাফিজ মহম্মদ সাঈদ সেই সময় যে সব ‘ছায়া সংগঠন’ গড়ে তুলেছিলেন, সেই সূত্রেই গড়ে উঠেছিল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) -এর মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো।
এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার ভারতের তরফে সার্ক ভিসা স্কিমের অধীনে পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এই ভিসার অধীনে ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আটারি স্থল সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় ভারত। পাশাপাশি দুই দেশের হাই কমিশনে কর্মকর্তা কমানো ও ফিরে যাওয়াসহ একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর পাল্টায় ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি স্থগিত এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা বৃহস্পতিবার দিয়েছে ইসলামাবাদ। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিতের পাশাপাশি নয়া দিল্লিকে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। তাছাড়া ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধেরও ঘোষণা এসেছে।