ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ ২১৮ বার পড়া হয়েছে

১৮ জানুয়ারি ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার :       সরস্বতী পূজার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকার দুই সিটির ভোটের তারিখ পরিবর্তন করলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল থেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক শেষে একথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া শেষে প্রার্থীরা বর্তমানে প্রচারণায় আছেন।
দুই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ১৩ প্রার্থীসহ প্রায় সাড়ে ৭শ প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

১ ফেব্রুয়ারি ভোটের বাধা ছিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এরইমধ্যে ইসির নির্দেশনায় পরীক্ষা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে ঘোষিত সময়ানুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার), মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৫ জানুয়ারি (রোববার)। প্রতীক বরাদ্দ হয়েছিল ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার)। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়া কথা ছিল ৩০ জানুয়ারি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করার তারিখ ছিল ১২ জানুয়ারি (রোববার)। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।

ডিএনসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম ও ডিএসসিসিথর রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনকে নিয়োগ করা হয়েছে।

৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের ৭ হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর উত্তরের মেয়র আনিসুক হক মারা গেলে উপ-নির্বাচন হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার।

সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হয় মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণও করেছিল ইসি। এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। কমিশন বলছে, আগামী মার্চে এই সিটি ভোটগ্রহণ করবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন

আপডেট সময় : ০২:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০

১৮ জানুয়ারি ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার :       সরস্বতী পূজার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকার দুই সিটির ভোটের তারিখ পরিবর্তন করলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল থেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক শেষে একথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া শেষে প্রার্থীরা বর্তমানে প্রচারণায় আছেন।
দুই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ১৩ প্রার্থীসহ প্রায় সাড়ে ৭শ প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

১ ফেব্রুয়ারি ভোটের বাধা ছিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এরইমধ্যে ইসির নির্দেশনায় পরীক্ষা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে ঘোষিত সময়ানুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার), মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৫ জানুয়ারি (রোববার)। প্রতীক বরাদ্দ হয়েছিল ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার)। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়া কথা ছিল ৩০ জানুয়ারি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করার তারিখ ছিল ১২ জানুয়ারি (রোববার)। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।

ডিএনসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম ও ডিএসসিসিথর রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনকে নিয়োগ করা হয়েছে।

৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের ৭ হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর উত্তরের মেয়র আনিসুক হক মারা গেলে উপ-নির্বাচন হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার।

সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হয় মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণও করেছিল ইসি। এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। কমিশন বলছে, আগামী মার্চে এই সিটি ভোটগ্রহণ করবে।