ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাউদকান্দিতে কৃষকদের জন্য ধান কাটার মেশিন “কম্বাইন্ড হারভেস্টার” দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০ ২১৭ বার পড়া হয়েছে

৪ মে ২০২০,আজকের মেঘনা ডটকম. দাউদকান্দি সংবাদদাতা :     চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটে বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। এ সময় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)।

(০৩ মে,২০২০) রোববার, দাউদকান্দি উপজেলার দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিক সংকটে ধান কাটে না পারা চাষিদের জন্য একটি অত্যাধুনিক ধান কাটার মেশিন YANMARAG-600A (কম্বাইন্ড হারভেস্টার) নিজস্ব অর্থায়নে কিনে দিয়েছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান ও কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তারিকুল ইসলাম নয়ন ও সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদের হাতে অত্যাধুনিক এই মেশিনটির চাবি তুলে দেন মোহাম্মদ আলী।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিনিধির সঙ্গে মুঠোফোনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানে দেশের এই করোনাকালিন ও পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আর এই মুহূর্তে দেশের শ্রমিক স্বল্পতার কারণে, সোনালী ধান ঘরে তোলতে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের। তাই দাউদকান্দির কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া কৃষিখাতে ভর্তুকির মাধ্যমে এ কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন উপজেলার কৃষকদের কল্যাণে আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শ্রমিক সংকটে পড়েন দাউদকান্দির কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে, কুমিল্লা-১ আসনের সাংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া এবং দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিনা পারিশ্রমিকে পাকা ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছেন কিছু দিন ধরে।বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেক ফসলের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই দ্রুত সময় কৃষকের পাকা ধান ঘরে তোলার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে YANMAR AG-600A মডেলের কম্বাইন্ড হারভেস্টার উপহার হিসেবে দেয়া হয়।

এই মেশিন প্রতি ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, পরিষ্কার, বস্তাবন্দি করা যাবে। এর মাধ্যমে উপজেলার ৬০ শতাংশ জমির ধান কাটতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

দাউদকান্দিতে কৃষকদের জন্য ধান কাটার মেশিন “কম্বাইন্ড হারভেস্টার” দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৬:০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০

৪ মে ২০২০,আজকের মেঘনা ডটকম. দাউদকান্দি সংবাদদাতা :     চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটে বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। এ সময় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)।

(০৩ মে,২০২০) রোববার, দাউদকান্দি উপজেলার দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিক সংকটে ধান কাটে না পারা চাষিদের জন্য একটি অত্যাধুনিক ধান কাটার মেশিন YANMARAG-600A (কম্বাইন্ড হারভেস্টার) নিজস্ব অর্থায়নে কিনে দিয়েছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান ও কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তারিকুল ইসলাম নয়ন ও সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদের হাতে অত্যাধুনিক এই মেশিনটির চাবি তুলে দেন মোহাম্মদ আলী।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিনিধির সঙ্গে মুঠোফোনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানে দেশের এই করোনাকালিন ও পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আর এই মুহূর্তে দেশের শ্রমিক স্বল্পতার কারণে, সোনালী ধান ঘরে তোলতে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের। তাই দাউদকান্দির কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া কৃষিখাতে ভর্তুকির মাধ্যমে এ কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন উপজেলার কৃষকদের কল্যাণে আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শ্রমিক সংকটে পড়েন দাউদকান্দির কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে, কুমিল্লা-১ আসনের সাংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া এবং দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিনা পারিশ্রমিকে পাকা ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছেন কিছু দিন ধরে।বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেক ফসলের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই দ্রুত সময় কৃষকের পাকা ধান ঘরে তোলার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে YANMAR AG-600A মডেলের কম্বাইন্ড হারভেস্টার উপহার হিসেবে দেয়া হয়।

এই মেশিন প্রতি ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, পরিষ্কার, বস্তাবন্দি করা যাবে। এর মাধ্যমে উপজেলার ৬০ শতাংশ জমির ধান কাটতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।