ঢাকা-১৮ আসনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপি নেতারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বানোয়াট বক্তব্য প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা তাদের চিরায়ত ভাষায় লাগাতার মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিকর, বাকচাতুর্যে লিপ্ত হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। আসন্ন উপ-নির্বাচনেও তারা একই ধরনের নাটকে অবতীর্ণ হয়েছে।’
বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে তারা মনগড়া বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়। এগুলো তাদের নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বানোয়াট বক্তব্য প্রচার করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে ডালি সাজিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।’
সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্ত্যব্যের জবাবে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে গণতন্ত্রের প্রতি আমেরিকার জনগণ ও রাজনৈতিক দলের দায়বদ্ধতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপিকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করেছে, দলটির তা নির্লজ্জ মিথ্যাচার হিসেবে অভিহিত করেন নাছিম।
এ সময় ঢাকা ১৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্ততা’র অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এজন্য বিএনপির শীর্ষ নেতারা মাঠ চষে বেড়ালেও জনগণের তেমন সাড়া পায়নি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা দেখা গেছে। বিএনপির প্রার্থী দলের মধ্যেই গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি নয়। যা দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সময় প্রমাণিত হয়েছে। মনোনয়নের সময়ে নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর ও কার্যালয়ে মারামারি ঘটনা নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে।’
এ সময় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচনকে ভোট উৎসবে পরিণত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নওগাঁ এবং ঢাকা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো, ঢাকা ১৮-তে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগের উদ্যোগ জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের মতামত দেবে এ প্রত্যাশা নিয়েই সব নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করি। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে শুধু ভোটকেন্দ্রে না মানুষ সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকেই সরে এসেছে। সেই বিবেচনায় এই নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা করা সম্ভব হয়নি সাংবিধানিক কারণে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরায়েজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।