ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় স্ত্রীকে হত্যার পর দু’সন্তান নিয়ে স্বামির পলায়ন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

১৩ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

কুমিল্লার হোমনায় স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে খুন করে জমিনে ফেলে রেখে দু’সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ যৌতুকলোভী স্বামির বিরুদ্ধে নিহতের পরিবারের। অাজ শনিবার নাসিমা আক্তার (৩০) নামে ওই নারীর লাশ জমি থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ। ঘটনাটি উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামে ঘটে। নিহত নাসিমা অাক্তারে ছেলে বাওয়ান (১৪) ও মেয়ে জাকিয়াকে (১০) নিয়ে পলাতক রয়েছে স্বামী জাকির হোসেন।

পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে স্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী জাকির হোসেন তাদের দু’সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের ওয়াহাব আলীর মেয়ে নাসিমা আক্তার (৩০) এর সাথে মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাকান্দি গ্রামের মৃত দাদন কাজির ছেলে জাকির হোসেনের সাথে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে বাউয়ান নামের এক ছেলে ও মেয়ে জাকিয়া নামের দুই সন্তান রয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্বামী জাকির হোসেন টাকার জন্য স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে ব্যাপক মারধর করে। মারধরের পরে প্রাণে বাঁচতে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে দুপুরে বাবার বাড়ি উপজেলার চম্পকগরে চলে অাসে।পরে বাবার বাড়ির লোকজন নাসিমাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। একই দিনের রাত দশটার দিকে স্বামী জাকির হোসেন মোবাইল ফোনে নাসিমা আক্তারকে বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। স্বামির ডাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবার পর নাসিমা আক্তারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। শ^শুর বাড়িতেও খোঁজ করে তাকে পাওয়া যায়নি। সকাল আটটার দিকে বাড়ির পাশের জমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী খবর দিলে পরিবারের লোকজন সেখানে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে দু’সন্তানকে পাওয়া না যাওয়ায় স্বামী জাকির হোসেন তাদের নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে ধারনা করছেন তারা। নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, ‘স্বামী জাকির হোসেন টাকা-পয়সার জন্য প্রায়ই আমার বোন নাসিমা আক্তারকে মারধর করত। শুক্রবার আমার বোনকে জাকির হোসেন ব্যাপক মারধর করলে সে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে হোমনা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই। রাত দশটার সময় জাকির আমার বোনকে মোবাইলে কল দেয়। ফোনে বাড়ীর বাইরে যেতে বললে সে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। সকালে তার লাশ বাড়ির পাশে জমিতে লোকজন দেখে আমাদের খবর দিলে আমরা সেখানে যাই।

এ ব্যাপারে হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল করিম জানান, স্বামী জাকির হোসেন গতকাল টাকা-পয়সার জন্য স্ত্রীকে মারধর করে। পরে সে বাবার বাড়িতে চলে আসে। তার ভাইয়েরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। রাত দশটার সময় স্বামী তাকে ফোনে বাড়ির বাইরে যেতে বললে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। সকাল আটটার সময় লোকজন বাড়ির পাশের জমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনার পর থেকে স্বামী জাকির হোসেন দু’সন্তান নিয়ে পালিয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

হোমনায় স্ত্রীকে হত্যার পর দু’সন্তান নিয়ে স্বামির পলায়ন

আপডেট সময় : ০৩:২২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০

১৩ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

কুমিল্লার হোমনায় স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে খুন করে জমিনে ফেলে রেখে দু’সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ যৌতুকলোভী স্বামির বিরুদ্ধে নিহতের পরিবারের। অাজ শনিবার নাসিমা আক্তার (৩০) নামে ওই নারীর লাশ জমি থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ। ঘটনাটি উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামে ঘটে। নিহত নাসিমা অাক্তারে ছেলে বাওয়ান (১৪) ও মেয়ে জাকিয়াকে (১০) নিয়ে পলাতক রয়েছে স্বামী জাকির হোসেন।

পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে স্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী জাকির হোসেন তাদের দু’সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের ওয়াহাব আলীর মেয়ে নাসিমা আক্তার (৩০) এর সাথে মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাকান্দি গ্রামের মৃত দাদন কাজির ছেলে জাকির হোসেনের সাথে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে বাউয়ান নামের এক ছেলে ও মেয়ে জাকিয়া নামের দুই সন্তান রয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্বামী জাকির হোসেন টাকার জন্য স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে ব্যাপক মারধর করে। মারধরের পরে প্রাণে বাঁচতে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে দুপুরে বাবার বাড়ি উপজেলার চম্পকগরে চলে অাসে।পরে বাবার বাড়ির লোকজন নাসিমাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। একই দিনের রাত দশটার দিকে স্বামী জাকির হোসেন মোবাইল ফোনে নাসিমা আক্তারকে বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। স্বামির ডাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবার পর নাসিমা আক্তারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। শ^শুর বাড়িতেও খোঁজ করে তাকে পাওয়া যায়নি। সকাল আটটার দিকে বাড়ির পাশের জমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী খবর দিলে পরিবারের লোকজন সেখানে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে দু’সন্তানকে পাওয়া না যাওয়ায় স্বামী জাকির হোসেন তাদের নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে ধারনা করছেন তারা। নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, ‘স্বামী জাকির হোসেন টাকা-পয়সার জন্য প্রায়ই আমার বোন নাসিমা আক্তারকে মারধর করত। শুক্রবার আমার বোনকে জাকির হোসেন ব্যাপক মারধর করলে সে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে হোমনা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই। রাত দশটার সময় জাকির আমার বোনকে মোবাইলে কল দেয়। ফোনে বাড়ীর বাইরে যেতে বললে সে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। সকালে তার লাশ বাড়ির পাশে জমিতে লোকজন দেখে আমাদের খবর দিলে আমরা সেখানে যাই।

এ ব্যাপারে হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল করিম জানান, স্বামী জাকির হোসেন গতকাল টাকা-পয়সার জন্য স্ত্রীকে মারধর করে। পরে সে বাবার বাড়িতে চলে আসে। তার ভাইয়েরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। রাত দশটার সময় স্বামী তাকে ফোনে বাড়ির বাইরে যেতে বললে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। সকাল আটটার সময় লোকজন বাড়ির পাশের জমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনার পর থেকে স্বামী জাকির হোসেন দু’সন্তান নিয়ে পালিয়ে গেছে।